ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
বর্তমান যুগে সকলেই অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। আপনি কি জানেন ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়। ২০২৫ সালের আপডেট বিশ্লেষণ।
আপনি যদি ব্লগিং করে মাসে আয় করতে চান। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি পড়ে ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
- ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
- ব্লগিং ইনকাম নির্ভর করে কোন বিষয়গুলোর উপর
- সার্ভিস অফার করে ব্লগিং ইনকাম
- এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায়
- ব্লগিং কি এবং কিভাবে এখানে আয় করা যায়
- ব্লগিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন
- একজন নতুন ব্লগার ও মাঝারি ব্লগার মাসে কত টাকা আয় করে
- ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান উৎস গুলো কি কি
- সফল ব্লগার হতে হলে যে ধরনের স্কিল প্রয়োজন
- লেখক এর শেষ কথাঃ ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে মাসে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি জানলে অবাক হবেন ব্লগিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ব্লগিং করার জন্য আপনাকে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ট্রেইনার এর কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে হবে।
আপনি চাইলে অর্ডিনারি আইটি এই ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এডমিন তার 12 বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে তার স্টুডেন্ট দের ট্রেনিং দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন সফল ব্লগার হতে চান তাহলে আপনাকে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাহলে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং ইনকাম নির্ভর করে কোন বিষয়গুলোর উপর
ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন কাজও নয় আবার খুব একটা সহজও নয়। এর জন্য আপনাকে অনেক বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। নিয়মিত প্র্যাকটিস না করলে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। ব্লগিং ইনকাম যে যে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে সেগুলো হল।
- মনিটাইজেশন পদ্ধতি (Adsence, Sponsored,Affiliate)
- SEO অপটিমাইজেশন
- কনটেন্ট কতটা রিলেভেন্ট এবং দরকারি
- ব্লগে মাসিক ভিজিটরের সংখ্যা
- কীওয়ার্ড রিসার্চ
আপনি যদি উপরের এই বিষয়গুলো সঠিকভাবে আপনার ব্লগে বা আপনার পোস্টে এপ্লাই করতে পারেন তাহলে ব্লগিং থেকে আপনার ইনকাম দ্রুত শুরু হবে। আশা করছি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
সার্ভিস অফার করে ব্লগিং ইনকাম
আপনি চাইলে অনেক রকম ভাবে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তার মধ্যে একটি হল সার্ভিস অফার করে ব্লগিং। আপনি চাইলে আপনার ব্লগ পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করাতে পারেন। ধরুন আপনাকে কোন ক্লাইন্ট অফার করল যে আমাকে একটি কনটেন্ট রাইটিং করে দিলে আপনাকে ৫০ ডলার দিব।
এবং আপনি সেই কাজটি করে দিলেন এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। সার্ভিস অফার চালু করার জন্য আপনাকে অনলাইন ফ্ল্যাট ফ্রম যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক এ সকল অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার একটি অ্যাকাউন্ট করে সেখানে কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজাইন, SEO বা ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস অফার করে রাখতে পারেন। তাহলে সেখানে অনেক ক্লাইন্ট পাবেন যারা আপনার সার্ভিস নিতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এভাবে অনেক ফ্রিল্যান্সার মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে আয় করা যায়
আপনি চাইলে আপনার ব্লগিং সাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোট বা সেল করতে হবে।ধরুন আপনি আপনার ব্লগ পোস্টে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর লিংক যোগ করে দিলেন।এবার ওই লিংকে যতজন ক্লিক করে সেই প্রোডাক্ট কিনবে আপনার একাউন্টে তার নির্ধারিত কিছু পার্সেন্টেজ যোগ হবে।
অনেক ব্লগার রয়েছে যারা এডসেন্সের চেয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করে। আপনি যদি ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কেও জানতে হবে। কেননা বুঝতেই পারছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মনে করেন, একটি ৫০০ টাকার প্রোডাক্ট আপনার লিংক থেকে ক্রয় করল। তাহলে ওই প্রোডাক্টের মূল্যের ১০% আপনার একাউন্টে আসবে অর্থাৎ আপনি সেখান থেকে ৫০ টাকা ইনকাম করতে পারবে।
ব্লগিং কি এবং কিভাবে এখানে আয় করা যায়
ব্লগিং হলো একটি অনলাইনের website যেখানে নিজের লেখা, অভিজ্ঞত, জ্ঞান বা তথ্য প্রকাশ করার মাধ্যমে ব্লগিং তৈরি করে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করা। ব্লগিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ডোমেইন কিনতে হবে। ডোমেইন হলো ব্লগিং ওয়েবসাইটের নাম, সেই নামে আপনি ব্লগিং এ একাউন্ট করতে পারবেন।
নিয়মিত ব্লগিংয়ে নতুন নতুন পোস্ট লিখে অর্থাৎ আপনার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও তথ্য প্রকাশ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে র্যাঙ্ক করিয়ে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক উপায়ে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি, এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে নানান ধরনের সেবা বা সার্ভিস দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন
ব্লগিং করার জন্য যে যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য, ধৈর্য না থাকলে ব্লগিং করে আপনি সফল হতে পারবেন না। তাই ব্লগিং শুরু করার আগে মাথায় রাখবেন আপনাকে ধৈর্য ধরে মাসের পর মাস কাজ করে যেতে হবে। আপনার জ্ঞান, স্কিল ও ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য তেমন কোন জিনিসের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ, ইন্টারনেটের সংযোগ ও একটি ডোমেইন থাকলেই ব্লগিংয়ে একাউন্ট খুলে পোস্ট পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে মাথায় রাখবেন এই ব্লগে কাজ করার জন্য প্রচুর স্কিল গড়ে তুলতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
একজন নতুন ব্লগার ও মাঝারি ব্লগার মাসে কত টাকা আয় করে
সাধারণত একজন নতুন ব্লগার মাসে খুব একটা বেশি আয় করতে পারে না। কেননা প্রথমে তো তার অডিয়েন্স তৈরির পেছনেই সময় চলে যায়। নতুন ব্লগারের ব্লগিং করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে স্কিল বাড়ানোর পেছনেই সময় চলে যায়। তাই একজন নতুন ব্লগার ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে ৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।
আরেকজন মাঝারি ব্লগার এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে তার নিজের ওয়েবসাইট কে ভালোভাবে র্যাঙ্ক করাতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা শিখে যায়। যেমনঃ গুগল এডসেন্স থেকে, এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে এবং স্পন্সর থেকে ভালো একটা ইনকাম করতে পারে। এসব মিলিয়ে একজন মাঝারি অভিজ্ঞ ব্লগার প্রতি মাসে ৫০০০০ থেকে ২০০০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান উৎস গুলো কি কি
ব্লগ থেকে আয়ের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। আসুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
- গুগল এডসেন্স, যখন আপনি আপনার ব্লগে পোস্ট লিখেন, এবং সেখানে google বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখায়। তখন পাঠকরা যদি আপনার ওয়েবসাইটের সেই এড এ ক্লিক করে তাহলে আপনার একাউন্টে ডলার আসতে শুরু করে।
- সার্ভিস অফার আপনি কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং কন্সাল্টেন্সি এবং SEO সার্ভিস দিয়ে থাকেন তখন আপনি সেই সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- স্পনসর্ড পোস্ট আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস করার মাধ্যমে সেই কোম্পানির কাছ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রেফার করলে এবং আপনার সেই লিংকে ক্লিক করে তা কিনলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
এভাবে ব্লগিং করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
সফল ব্লগার হতে হলে যে ধরনের স্কিল প্রয়োজন
একজন সফল ব্লগার হতে হলে আপনাকে অনেক বিষয়ে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। ব্লগিং করতে হলে আপনাকে গুগলের অ্যালগরিদম টি ভালোভাবে বুঝতে হবে। আসুন জেনে নেই সফল ব্লগার হতে কি ধরনের স্কিল প্রয়োজন।
প্রথমত আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
- ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহারের দক্ষতা রাখতে হবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে
- গুগলের অ্যালগরিদম বুঝতে হবে।
- এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো SEO (search engine optimization) সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
তাহলে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন সফল ব্লগার হতে হলে কি কি ধরনের স্কিলের প্রয়োজন হয়। স্কিল এবং ধৈর্য এই দুইটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন।
লেখক এর শেষ কথাঃ ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ব্লগিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়। সংক্ষেপে যদি বলি, তাহলে ব্লগিং থেকে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।আপনি আপনার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং দক্ষতার মাধ্যমে ব্লগিং থেকে আয় করতে পারেন। আপনি যদি প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে মনে রাখতে হবে, ব্লগিং থেকে রাতারাতি ইনকাম করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময়, শ্রম, ধৈর্য এবং জ্ঞান। আপনি যদি এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ব্লগিংয়ে কাজ করে যান তাহলে অবশ্যই একদিন এই ব্লগিং থেকে প্যাসিভ ইনকামের সোর্স তৈরি করতে পারবেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url