২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫
আপনি কি ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫ সালে খুঁজছেন। তাহলে আপনি এই পোস্টটি থেকেই জানতে পারবেন ২০ হাজার টাকার মধ্যে গেম খেলার জন্য কোন ফোনটি সেরা।
বর্তমানে অনেকেই গেম খেলার জন্য ফোন কিনে কিন্তু কোন ফোন কিনবে সেটা না জানাই তারা ভালো গেমিং ফোন কিনতে পারে না। আজকে আমি আপনাদের ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন কোন গুলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫
২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫
২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫ সালে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আজকে
জানবো। আমরা অনেকেই না জেনে ফোন কিনে ঠকে যায়। পরবর্তীতে যে ফোন
গেম খেলার জন্য কিনেছিলাম সেটাই গেম খেলা যায় না। গেম খেলার জন্য
একটু ভালো কোয়ালিটির ফোন কিনতে হয়। বর্তমানে যুবক বয়সের ছেলেরা
ফ্রি ফায়ার গেম খেলার জন্য গেমিং ফোন কিনে। তাহলে আসুন জেনে
নেই গেমিং ফোনে কোন ফিউচারগুলো ভালো হওয়া উচিত।
সাধারণত গেম খেলার জন্য ফোন কিনলে সেটি হাই কোয়ালিটির হওয়া দরকার
হয়। প্রথমত ফোন সর্বনিম্ন 8gb RAM এর হতে হবে এবং128 gb
ROM এর হতে হবে। তাহলে ফোনটিতে গেম খেলা ভালো হবে। এবং ভালো
প্রসেসর লাগবে প্রসেসর সর্বনিম্ন 2.0 GHz হতে হবে। তবে
স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর হলে সবচেয়ে ভালো হয়। মোটামুটি এ সকল
ফিউচারগুলো থাকলে অনলাইন গেম গুলো ভালোভাবে খেলা যায়। তবে
স্মুথলি খেলার জন্য আরো ভালো কোয়ালিটির ফোন দরকার।
কোন গুলো গেমিং ফোন
আপনি নিশ্চয় জানতে চান কোন গুলো গেমিং ফোন। বর্তমানে হাই কোয়ালিটির গেম
গুলো খেলার জন্য অনেক দামী দামী ফোন ব্যবহার করা হয়। তবে গেমিং ফোনগুলো কি
কি আজকে আমরা সেগুলো জানবো। এখন প্রায় সব ব্র্যান্ডগুলোই গেমিং ফোন তৈরি
করছে কেননা বর্তমানে গেম খেলার জন্য মানুষ গেমিং ফোন কিনছে। তাহলে আসুন জেনে
নেই কোন ফোনগুলো গেমিং ফোন।
২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো ৭টি গেমিং ফোন ২০২৫
- Motorola moto g24 power
- Motorola moto g45 5g
- Realme c75
- Samsung galaxy m15 5g
- Poco x6 neo
- iQOO z9x 5g
- Redmi note 13 4g
সাধারণত ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫ সালে এইগুলোই।
Motorola moto g24 power
গেমারদের জন্য এই ফোনটি খুবই আকর্ষণীয়। কেননা এই ফোনের সব কিছুই গেম খেলার
জন্য পারফেক্ট। এই ফোনের প্রসেসর MediaTek Helio g85 এবংMail g52
MC2 GPU. এটি গেমার জন্য খুবই পছন্দনীয় ফোন যা মিড রেঞ্জ গেমিং এর
জন্য যথেষ্ট। এই ফোনে ফ্রি ফায়ার, পাবজি এ ধরনের গেম
স্মুথ ভাবে খেলা যাই।
এছাড়াও আরো অনেক ফিচার রয়েছে। এই ফোনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর
ব্যাটারি 6000 mAh এর যা গেমারদের জন্য খুবই
প্রয়োজনীয়। এবং এই ফোনটি ফাস্ট চার্জিং 30w এর চার্জার রয়েছে
যা দ্রুত চার্জ করে। Motorola moto g24 power এই ফোনে রয়েছে 6.56 ইঞ্চির এইচডি
ডিসপ্লে। এক কথায় বিশ হাজার টাকার মধ্যে এটি খুবই ভালো ফোন যা আপনি গেম
খেলার জন্য নিতে পারেন।
Motorola moto g45 5g
Motorola moto g45 5g এই ফোনটিতেও অনেক স্মুথ ভাবে গেম খেলা যায়। এই
ফোনটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর যা গেমিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর প্রসেসর হল Qualcomm Snapdragon 6s gen 3
chipset। এই প্রসেসরটি গেম খেলার জন্য খুবই ভালো। আপনার সাধ্যের
মধ্যে এ ফোনটি একটি বেস্ট গেমিং ফোন।
এটি 5000mAh এর ব্যাটারি, এটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে
পারে। তবে এটি ফাস্ট চার্জিং নয়। এর চার্জার হল ১৮ ওয়ার্ডের তবে তেমন
কোন সমস্যা নয়। একবার চার্জ করে নিলে আপনি সারাদিন গেম খেলতে পারবেন এই
ফোনে। এই ফোনটি দেখতে অনেক সুন্দর একটি প্রিমিয়াম
ডিজাইনের লুক। ফোনটিতে রয়েছে 8gb RAM and 128gb ROM যা স্মুথ গেম
খেলার জন্য যথেষ্ট। আপনি চাইলে গেম খেলার জন্য এই ফোনটি নিতে
পারেন।
Realme c75
বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এই Realme
c75 অন্যতম। এই ফোনটিতে যেমন লুক রয়েছে তেমনি ক্ষমতাও
রয়েছে। গেমারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ফোন। যারা অল্প বাজেটের মধ্যে
গেমিং ফোন কিনতে চাচ্ছেন তারা এই ফোনটি চাইলে দেখতে পারেন। এই ফোনে লেটেস্ট
সব ধরনের ফিচার রয়েছে।
Realme c75 এটি MediaTek Helio g92 max যা অক্টা কোর প্রসেসর
2.0। ফোনটিতে রয়েছে 6000 mAh ব্যাটারি জাগে আমাদের জন্য খুবই
পছন্দনীয়। আবার রয়েছে 45 ওয়ার্ডের ফাস্ট চার্জিং যা দ্রুত চার্জ করে
দেয়। এর ডিসপ্লে রয়েছে ৬.৭২ ইঞ্চি। Realme c75 এই ফোনটির RAM,
ROM 6/128, 8/128 রয়েছে। আপনি চাইলে এই ফোনটি ও ক্রয় করতে
পারেন।
Samsung galaxy m15 5g
Samsung galaxy m15 5g এই ফোনটির পারফরম্যান্স দেখলে আপনি অবাক হয়ে
যাবেন। কেননা মিড রেঞ্জ বাজেটের মধ্যে এই ফোনটি সেরা ফোন। যারা গেম
খেলার জন্য ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন খুঁজছেন তাদের জন্য এটি
একটি বিকল্প উপায় হতে পারে। কেননা গেম খেলার জন্য যে সকল ফিচারগুলো
প্রয়োজন তার সবগুলোই এই ফোনের মধ্যে রয়েছে।
এই ফোনটিতে রয়েছে mediaTek 6100 + chipset এবং এর প্রসেসর
অক্টা কোর 2.2 গিগাহার্টজ। তাহলে নিশ্চয়ই আইডিয়া করতে পারছেন ফোনটি
কেমন হতে পারে। সাধারণত পাবজি বা ফ্রি ফায়ার এর মত অনলাইন গেমগুলো খেলতে
একটু ভালো ফোনের প্রয়োজন হয়। এ সকল গেম গুলো খেলার জন্য Samsung galaxy
m15 5g এই ফোনটি উপযুক্ত। এর ব্যাটারি ব্যাকআপ
অনেক 6000mAh ব্যাটারি। এতে রয়েছে 25 ওয়ার্ডের চার্জিং
সিস্টেম।
Poco x6 neo
বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোন গুলোর মধ্যে এটিও একটি। Poco x6 neo এই ফোনটি সব
জেনারেশনের মানুষের পছন্দের একটি ফোন। গেমারদের জন্য তো এটি খুবই চমৎকার
একটি ফোন এটার লুকটা যেমন এর পারফরম্যান্স ঠিক তেমনি। এটি সুপার এমুলেটর
ডিসপ্লে। এর ব্যাটারি লাইফ ও অনেক তাই অনায়াসেই এ ফোন দিয়ে সারাদিন এক
চার্জে গেম প্লে করা যায়।
এই ফোনটি পাঁচ হাজার এম্পিয়ারের ব্যাটারি সহ ফাস্ট চার্জিং ফোন যা গেমারদের জন্য
খুবই দরকারি একটি বিষয়। বিশ হাজার টাকার মধ্যে এটি খুবই ভালো গেমিং
ফোন। এটি মিডিয়াটেক ৬০৮০ প্রসেসর যা খুবই শক্তিশালী পারফরমেন্স। Poco
x6 neo এই ফোনটির ক্যামেরাও খুবই ভালো যার ব্যাক ক্যামেরা ১০৮ এমপি এবং
সেলফি ক্যামেরা ১৬ এমপি যা খুবই দুর্দান্ত একটি ফোন।
iQOO z9x 5g
গেমিং ফোন গুলোর মধ্যে iQOO z9x 5g এই ফোনটির কথা না বললেই নয়। কারণ
গেমিং ফোন গুলোর মধ্যে এটি যথেষ্ট উপযোগী এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি। যদিও এই
ফোনটি অনেকেই চেনে না কিন্তু এই ফোনটির পারফরম্যান্স ব্যবহার না করলে বোঝা যায়
না। আপনি যদি একজন গেমার হয়ে থাকেন এবং গেমিং ফোন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই
এই ফোনটি ভালোভাবে দেখবেন পছন্দ হলে কিনতে পারেন।
এই ফোনের বিশেষ একটি ফিচার রয়েছে সেটি হল গেম চলাকালীন সময়ে ফোন যাতে গরম
না হয়ে যায় তাই এই ফোনে উন্নত মানের কুলিং মেকানিজম ব্যবহার করা
হয়েছে। গেমারদের কথা চিন্তা করে এই ফোনটি তৈরি করা হয়েছে। এই ফোনটি
snapdragon processor। এটি ৬০০০ এম্পিয়ারের ৪৪ ওয়ার্ডের ফাস্ট চার্জিং
একটি ফোন। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই ফোনটি কেমন হতে পারে। আপনি চাইলে
নিঃসন্দেহে এই ফোনটি চয়েজ করতে পারেন।
Redmi note 13 4g
সবশেষে যে ফোনটির কথা বলব সেটি হল Redmi note 13 4g এটি একটি দুর্দান্ত
গেমিং ফোন। বাজেটের মধ্যে এই ফোনটির ফিচারগুলো জানলে আপনি অবাক
হবেন। এই ব্র্যান্ড টাই একটি গেমিং ফোনের ব্র্যান্ড। এর
প্রসেসর হল snapdragon 685 যা গেমিং এর জন্য উপযুক্ত একটি
ফোন। বর্তমানে ফোনটির ৬/১২৮ ভেরিয়েন্ট রয়েছে।
এই ফোনটির 5000 mAh ব্যাটারি রয়েছে এবং 33w ফাস্ট চার্জিং সুবিধা
রয়েছে। এটিও একটি সুপার অ্যামুলেটর ডিসপ্লে যা গেমারদের জন্য খুবই
পছন্দনীয়। তবে এই ফোনটিতে ৫ জি সাপোর্ট সিস্টেম নেই, এতে রয়েছে
৪জি নেটওয়ার্ক সিস্টেম। বিশ হাজার টাকার মধ্যে আপনি চাইলে এই ফোনটিও চয়েস
করতে পারেন। এই ফোনে গেম প্লে করলে স্মুথলি গেম প্লে করা
যাবে। এবার পছন্দ করার পালা আপনার, এর মধ্যে থেকেই আপনি যে কোন একটি
চয়েস করতে পারেন।
শেষ কথাঃ ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫
এতক্ষণ আপনাদের সাথে ২০০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন ২০২৫ সালের ফোন গুলো
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন উপরে বর্ণনা
করা ফোন গুলোর মধ্যে সবগুলোই ভালো মানের গেমিং ফোন। বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোন
গুলোর মধ্যে উপরের ফোনগুলো অন্যতম।
আপনি যদি ফ্রি ফায়ার বা pubg এর মত অনলাইন গেম গুলো খেলতে চান তাহলে উপরে
সাজেস্ট করা কোনগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। আমার মতে iQOO
z9x 5g এই ফোনটি গেমিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কেননা গেম খেলার
সময় ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এবং এই গরম প্রতিরোধ করার জন্য এই ফোনের
মধ্যে কুলিং মেকানিজম সিস্টেম রয়েছে। এবার আপনার ইচ্ছেমতো ফোন কিনতে
পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে কমেন্টে জানাবেন।
আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url