মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম

আপনি কি মাথা ব্যথায় ভুগছেন, মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলোর নাম জানতে চান। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এখানে আমি আপনাদের ১০টি মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম বলব। 

মাথা-ব্যথা-কমানোর-ঔষধ

এই ১০টি ঔষধ আপনার মাথাব্যথা দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে কয়েকটি ঔষধ রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত। বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ  

মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ 

আপনি যদি মাথা ব্যথায় ভুগতে থাকেন তাহলে আপনার অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে যদি দীর্ঘদিনের মাথাব্যথা না হয় তাহলে আপনি মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সেবন করতে পারেন।  আজকে আমি আপনাদের সাথে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হয় এমন কিছু জনপ্রিয় ঔষধের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যেগুলো আপনি হালকা মাথা ব্যথায় সেবন করতে পারেন। 
মাথা ব্যথা একটি জটিলতম রোগ তাই এই রোগকে অবহেলা না করে যে কোন ঔষধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ায় ভালো। তবে আজকে আমি আপনাদের কয়েকটি ঔষধের নাম বলব যেগুলো সাধারণত মাথাব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার কয়েকটি ওষুধ রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। গর্ভবতী, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি/লিভার রোগীর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত এবং শিশুদের জন্য ডোজ ভিন্ন হতে পারে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না। 

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম 

আপনার যদি দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা না হয় তাহলে আপনি কিছু ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই সেবন করতে পারেন। কিন্তু আপনার মাথা ব্যথা যদি দীর্ঘ দিনের হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে আমি আপনাদের মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম বলবো যেগুলো আপনার মাথা ব্যথা দ্রুত কমাবে। তবে এর মধ্যে কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। 

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধ 
  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol)
  2. আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)
  3. অ্যাসপিরিন (Aspirin)
  4. মেফেনামিক অ্যাসিড (Mefenamic Acid / Ponstan)
  5. ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen)
  6. সুমাট্রিপটান (Sumatriptan)
  7. রিজাট্রিপটান (Rizatriptan)
  8. ট্রামাডল (Tramadol)
  9. প্রোপ্রানোলল (Propranolol)
  10. অ্যামিট্রিপ্টাইলিন (Amitriptyline)
এই ১০টি ঔষধ আপনার মাথাব্যথা দ্রুত কমাতে পারে। তবে এখান থেকে কিছু ঔষধ সব সময় খাওয়া যাবে আবার কিছু ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবেনা। চলুন কোনগুলো খাওয়া যাবে এবং কোনগুলো খাওয়া যাবে না সেগুলো জেনে নিই। 

মাথা ব্যথা কমাতে সাধারণত ব্যবহৃত ঔষধ

মাথা ব্যথা কমাতে সাধারণত ব্যবহৃত ঔষধ গুলো আমাদের জানা উচিত। কেননা হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হলে কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই আমরা এই ঔষধ গুলো খেতে পারি। এই ঔষধ গুলো আমাদের মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নিই কোন ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে। 
মাথা-ব্যথা-কমানোর-ঔষধ

  • প্যারাসিটামল (Paracetamol)
  • আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)
  • অ্যাসপিরিন (Aspirin)
  • মেফেনামিক অ্যাসিড (Mefenamic Acid / Ponstan)
  • ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen)
সাধারণত এই ওষুধগুলো আপনি যেকোন মুদিখানার দোকানেও পেতে পারেন আর এর ঔষধ গুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খাওয়া যেতে পারে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য। 

মাথা ব্যথা কমাতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ঔষধ

মাথা ব্যথা কমাতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ঔষধ গুলো আমাদের জেনে রাখা উচিত। এর কারণ হলো এইসব ঔষধ গুলো অনেকটা বিপদজনক হতে পারে। সাধারণত এই সব ঔষধ গুলো রোগের ধরন অনুযায়ী দেওয়া হয়। আর আপনি যদি ভুল রোগের কারণে ভুল ওষধ সেবন করেন তাহলে আপনার জীবনের ঝুঁকি থাকতে পারে। চলুন জেনে নিই কোন ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত। 
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ঔষধ 
  • সুমাট্রিপটান (Sumatriptan)
  • রিজাট্রিপটান (Rizatriptan)
  • ট্রামাডল (Tramadol)
  • প্রোপ্রানোলল (Propranolol)
  • অ্যামিট্রিপ্টাইলিন (Amitriptyline)
এগুলো হলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা ওষুধ। ডাক্তার সাধারণত এগুলো বিশেষ করে মাইগ্রেন, তীব্র ব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, স্নায়বিক ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য দিয়ে থাকে।  

মাথা ব্যথা কমানোর সাধারন ওষুধের কাজ

মাথা ব্যথা কমানোর সাধারণ ওষুধের কাজ গুলো আমাদের জানা উচিত। তাহলে আমরা সঠিক সময় প্রাথমিকভাবে এই ঔষধ গুলো সেবন করতে পারি। সাধারণত মাথা ব্যথা কমানোর সাধারণ ঔষধ গুলো মাথাব্যথা, টেনশন হেডেক, জ্বর ও ঠান্ডা জনিত ব্যথায় বেশি ব্যবহৃত হয়। চলুন সাধারণ ওষুধের কাজগুলো জেনে নিই। 

প্যারাসিটামল (Paracetamol)
শরীরের জ্বর ও ব্যথা কমাতে পারে।
 
আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen)
জ্বর, ঠান্ডা ও ক্লান্তি জনিত মাথাব্যথায় ভালো কাজ করে। প্রদাহ ও ফোলা ভাব কমায়। 

অ্যাসপিরিন (Aspirin) 
রক্ত পাতলা করে এবং প্রোস্টাগ্লান্ডিন কমিয়ে ব্যথা উপশম করে। তবে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের সতর্কতা প্রয়োজন।

মেফেনামিক অ্যাসিড (Mefenamic Acid / Ponstan)
ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টিকারী এনজাইম (COX) ব্লক করে। হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা বা মাসিকজনিত ব্যথায়ও ব্যবহৃত হয়।

ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen)
দীর্ঘসময় ধরে ব্যথা দূর করে এবং টেনশন হেডেক ও মাইগ্রেনের শুরুতে উপকার দিতে পারে।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের কাজ 


মাথা ব্যথা কমাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষধের কাজ কি চলুন এবার সেগুলো জানি। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেন, তীব্র ব্যথা ও দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথায় দেওয়া হয়। কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ঔষধ গুলো নিরাপদ নয়। চলুন সেই ওষুধগুলোর কাজগুলো জেনে নিই। 

সুমাট্রিপটান (Sumatriptan)
এটি মাইগ্রেনের জন্য বিশেষ ওষুধ। মস্তিষ্কের রক্তনালী সঙ্কুচিত করে এবং ব্যথা সৃষ্টিকারী স্নায়ুসংকেত ব্লক করে। মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

রিজাট্রিপটান (Rizatriptan)
মাইগ্রেন অ্যাটাক হলে মস্তিষ্কের প্রসারিত রক্তনালী আবার স্বাভাবিক করে। স্নায়বিক ব্যথার কার্যকলাপ কমায়। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যথা উপশম দেয়।

ট্রামাডল (Tramadol)
এটি একটি শক্তিশালী ব্যথানাশক (opioid analgesic)। মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভূতি বহনকারী রিসেপ্টরকে ব্লক করে। তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ব্যবহৃত হয়, তবে অভ্যাস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় শুধুমাত্র ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে দেওয়া হয়।

প্রোপ্রানোলল (Propranolol)
এটি একটি বিটা-ব্লকার ওষুধ। মাইগ্রেন হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করে। স্নায়বিক উত্তেজনা কমায়, রক্তনালীর অতিরিক্ত সাড়া কমিয়ে মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনে।

অ্যামিট্রিপ্টাইলিন (Amitriptyline)
এটি একটি ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, তবে মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণেও খুব কার্যকর। মস্তিষ্কের ব্যথা নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক (সেরোটোনিন, নরএপি) স্থিতিশীল রাখে। ক্রনিক টেনশন হেডেক ও মাইগ্রেন প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।

মনে রাখবেন এসব ওষুধ নিজে থেকে খাওয়া বিপজ্জনক।

মাথা ব্যথার সাধারণ কারণগুলো কী

আমরা মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানলাম তবে আমরা অনেকেই জানিনা মাথা ব্যথার সাধারণ কারণগুলো কী। তাই আমাদের আগে জানা উচিত মাথাব্যথা হওয়ার সাধারণ কারণ গুলো কি কি। মাথা ব্যথার কারণ গুলো নানা ধরনের হতে পারে। এখন আমি আপনাদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এমন কারণগুলো বলবো। 
মাথা ব্যথার সাধারণ কারণ 
  • টেনশন ও চাপ জনিত মাথাব্যথা 
  • মাইগ্রেন এর ব্যথা 
  • ক্লাস্টার হেডেক 
  • সাইনাস সমস্যা 
  • চোখের সমস্যা 
  • ঘুমের অভাব 
  • পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া 
  • অতিরিক্ত ক্যাফাইন কমানো 
  • ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 
  • গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা ইত্যাদি 
সাধারণত এ সকল কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে।  

মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত। মাথা ব্যথা কমানোর অনেক ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। এখন আমি আপনাদের সাথে মাথা ব্যথা কমানোর কার্যকরী কিছু ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিই।

মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় 
  • গরম বা ঠান্ডা কমপ্রেস ব্যবহার 
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম 
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা 
  • কফি বা চা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা 
  • হালকা ব্যাম বা স্ট্রেচিং 
  • মৃদু ম্যাসাজ 
  • আদা বা পুদিনা ব্যবহার 
  • অ্যালকোহল বা ধূমপান এড়ানো 
  • অন্ধকারে বিশ্রাম নেওয়া 
  • মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে দূরে থাকা 
  • নিয়মিত খাবার খাওয়া ইত্যাদি 
এগুলোই হল মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়। 

মাইগ্রেন এর ব্যথা উঠলে কি করনীয়

মাইগ্রেনের ব্যথা খুবই তীব্র হতে পারে। তাই মাইগ্রেন এর ব্যথা উঠলে কি করনীয় তা জেনে থাকা ভালো। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে এবং বমি বমি ভাব আসে। হঠাৎ মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে আপনি চাইলে সেই পরিস্থিতিতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেটা আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কিছুটা কমাবে। চলুন জেনে নিই মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে কি করনীয়।
মাথা-ব্যথা-কমানোর-ঔষধ
হঠাৎ মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে শান্ত ও অন্ধকার পরিবেশে বিশ্রাম নিন। ঠান্ডা অথবা গরম কম্প্রেস ব্যবহার করুন গরম তোয়ালে ঘাড়ে বা কপালে লাগিয়ে রাখুন। কপাল, ঘাড় ও বেশি গুলো হালকা ম্যাসাজ করুন। এ সময় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। যদি ডাক্তারের পরামর্শে নির্ধারিত কোন মাইগ্রেনের ঔষধ থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি গ্রহণ করুন। তীব্র শব্দ ও অতিরিক্ত স্ট্রেট বা কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন। এমনটা করলে আপনি মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করতে পারবেন। 

শেষ কথাঃ মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ  

উপরে পুরো পোস্ট জুড়ে আমরা মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধ এবং মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিত জানলাম। কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো হালকা মাথা ব্যথায় কোন প্রকার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই গ্রহণ করা যায়। আবার এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন করলে ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্যান্য মাথা ব্যথার ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো। 

আপনি চাইলে ঘরোয়া বিভিন্ন উপায়ে মাথাব্যথা কমাতে পারেন। এ বিষয়ে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মাথা ব্যথা হলে খুবই বিরক্তি লাগে এ সময় অতিরিক্ত শব্দ অথবা আলো থেকে দূরে থাকুন। মাথা ব্যথা হলে বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন। আপনার মাথা ব্যথা যদি দীর্ঘ দিনের হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করুন। পোস্টটি কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url